তিনি বলেন, সরকার নিজেদের ইচ্ছাপূরণ এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে এখন আদালতকে ব্যবহার করবে, কসাই খানায় পরিণত করবে, তাদের বিরুদ্ধের লোকদের শাস্তি দেয়ার জন্য।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের সরদার পাড়াস্থ নিজস্ব বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন যথার্থই বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কখনই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে তা হবে ‘হাসিনা মার্কা’ ও ‘ফেনী মার্কা’ নির্বাচন। রাত ৩টায় ব্যালট বাক্স ভরা হবে এবং বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবে না। ফলে তার অধীনে ক্ষমতার পালা বদল হবে না।
রিজভী আরো বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে যে সহায়ক সরকার হবে তার অধীনেই আমরা নির্বাচনে যাবো। আমরা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না, কারণ তারা রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করবে এবং ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেবে না।
এছাড়াও কুড়িগ্রামের দারিদ্রতা প্রসঙ্গ তিনি বলেন, এখানে দুর্ভিক্ষ প্রবণ অবস্থা বিরাজ করলেও সরকারের দিক থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম বেবু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম নুরুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেম সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এফইএস/এসএইচ