সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই দলের নেতারা কর্মী ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন। এতে দল যেমন শক্তিশালী হবে তেমনই নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যও তৈরি হবে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে পড়া বিএনপি ও তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন রীতিমতো রাজনৈতিক মাঠে নেমে পড়েছেন। রয়েছেন দলের হয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক নেতারাও।
পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে শহরের অলি-গলির বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরে বেড়িয়ে সব পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করছেন তারা। দলের এমনও অনেক নেতা রয়েছেন যাদের বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে খুঁজেও পাননি কর্মীরা।
সেসব নেতারাও এখন দলের হয়ে কর্মীদের কাছে যাচ্ছেন। বলছেন ভবিষ্যতে পাশে থাকার কথা। দলের দীর্ঘদিনের জড়তা কাটিয়ে উঠে খুব দ্রত দলের অবস্থা পরিবর্তনে নেতাদের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন কর্মীরাও।
নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমন একাধিক নেতা জানান, ভবিষ্যতে দলের ভালো সময় আসছে! তাই এখনই সময় ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার। বর্তমান সরকারের নানা অপকর্ম ও নৈতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছাতে হবে।
তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা তুলে ধরে জনগণের সমর্থন বাড়ানোর কথাও মানুষকে জানাতে হবে। দল নির্বাচনে যাক কিংবা আন্দোলনে, সব কিছুতেই প্রয়োজন হয় দলের কর্মীদের। তাই তাদের কাছে আগে যেতে হবে।
এদিকে দলের প্রায় ডজন খানেক মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক সংসদ সদস্যরাও এরই মধ্যে রাজনৈতিক মাঠে নেমে পড়েছেন। বিভিন্ন এলাকা সফরে গিয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক করছেন। কর্মীদের ‘পালস’ বুঝে তাদের সঙ্গে আগামীতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয়ও নিচ্ছেন নেতারা।
আগামীতে আর আগের মতো তাদের ফেলে দলের দুঃসময়ে দূরে থাকবেন না বলেও কর্মীদের অনেকে আশ্বস্ত করছেন তারা। কর্মীদের দলের পক্ষে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় করতেও কাজ করছেন সাবেক সংসদ সদস্যরা।
সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর (রোববার) ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তরুণ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দেখা গেছে নিজস্ব কর্মীবাহিনীর বিশাল শোডাউন করতে।
দীর্ঘদিন পর এমন শোডাউনে দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সব পর্যায়ে আলোচিত হয়েছে। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদেরও সেখানে অংশ নিতে দেখা যায়। এমনকি সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতরাও ছিলেন ওই শোডাউনে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বাংলানিউজকে বলেন, কর্মীরাই দলের প্রাণ-তাদের ছাড়া রাজনীতি করা যায় না। তাদের চাঙ্গা করে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সব কর্মীদের সঙ্গে নেতাদের এ সুসম্পর্ক বজায় থাকলেই দল শক্তিশালী থাকবে বলেও মনে করেন এই নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
জিপি/এমএ