সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে আমির খসরু এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ‘স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ড. মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।
সমাবেশের প্রধান অতিথি আমির খসরু বলেন, সরকার যদি এবারও আগের মতো নির্বাচন করে ফসল তুলতে চায়, তবে তাদের বড় ধরনের মূল্য দিয়ে বিদায় হতে হবে।
বর্তমান সরকার জনগণের প্রতিনিধি নয় দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ আমরা কার কাছে কিসের দাবি জানাবো? দেশে কি কোনো নির্বাচিত সরকার আছে? একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারের কাছে জনগণের অনেক ধরনের দাবি থাকতে পারে। কিন্তু যে সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তাদের কাছে আমাদের কোনো দাবি নেই। দাবি করেও লাভ নেই।
তিনি বলেন, দেশে এখন কোনো আইনের শাসন নেই। আছে শাসকের আইন। এই শাসক তার প্রয়োজনে সুবিধা মতো আইন প্রণয়ন করে থাকে।
খালেদা জিয়ার মামলার সঙ্গে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার প্রস্থানের যোগসূত্র আছে দাবি করে আমির খসরু বলেন, এই সরকার শুধু মানুষের ভোটাধিকার নয়, সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা আইন-আদালত সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই প্রধান বিচারপতিকে বিদেশে পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের মাধ্যমে আমাদের দলের চেয়ারপারসনকে নির্বাচনে অযোগ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মিয়ানমারের সঙ্গে করা রোহিঙ্গা চুক্তির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও সরকার যে চুক্তি করেছে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। চুক্তিতে যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে, তার কোনোটাই পূরণ হওয়ার সুযোগ নেই। এটা আসলে নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের একটি ধোঁকাবাজি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
এমএইচ/এইচএ/