তিনি বলেছেন, ‘অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। যে বিধিমালায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব অভিযোগ করেন। পরে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, ‘নতুন শৃঙ্খলাবিধি সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে। এ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে লেখা আছে, বিচার বিভাগ হবে একটি স্বাধীন অঙ্গ এবং বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ সম্পূর্ণভাবে পৃথকীকরণ করা হবে। সেজন্য আইনও পাস করা হয়েছে। ’
‘‘আজকে এই শৃঙ্খলাবিধির মাধ্যমে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণের মৃত্যু ঘটেছে। জারি করা বিধিমালায় বলা হয়েছে- অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের ‘নিয়োগকারী’ কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ও আইন মন্ত্রণালয়কে অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসাবেও নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বিধির ফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হবে। ’
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই বিধির ফলে সাংবিধানিক প্রক্রিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিচারিক আদালত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাদের সরকারি গণপ্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্য নির্বাহী বিভাগকে নিরঙ্কুশভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। ’
‘এতে সুবিচার ও ন্যায়বিচার কালেরগর্ভে হারিয়ে যাবে,’ বলেও মনে করেন রিজভী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এমএ/