শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) সকালে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের হত্যা দিবস’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে দলটি।
পরে দলটি পল্টনে সমাবেশের অনুমতি চাইলে পুলিশ বলে, পল্টনে সমাবেশ করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান বাংলানিউজকে বলেন, পল্টনে কারো সমাবেশ করার সুযোগ নেই। রাস্তার উপর সমাবেশ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া রাস্তা সিটি করপোরেশনের, আমরা অনুমতি দিতে পারি না।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্র হত্যাকারী দল তা প্রমাণ হলো, বিএনপিকে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়ায়। তারা গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে ন্যূনতম বিশ্বাস করে না। যদি বিশ্বাস করতো তাহলে বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিতো না।
তিনি বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার গণতন্ত্রের নিষ্ঠুর প্রতিপক্ষ। তাদের বাকশালী প্রেতাত্মা আরো বিধ্বংসী রূপ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। আওয়ামী দখল আর লুটপাট চিরস্থায়ী রূপ দিতে তারা বিরোধীদলশূন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছে। আজকে আওয়ামী লীগ ঢাকায় দু’টি সমাবেশ করবে, অথচ বিএনপিসহ বিরোধী দলকে সমাবেশ করতে বাধা দিলো।
৫ জানুয়ারি বিতর্কিত ও কলঙ্কিত নির্বাচনকে আড়াল করতে কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভোটারবিহীন সেদিনের নির্বাচন দেশে-বিদেশে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত নির্বাচন হিসেবে গণ্য হয়েছে। কেউ তাদের সেই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি বলেই তাদের এ লজ্জা ঢাকতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করতেই আজকের কর্মসূচি দুর্বিনীত কায়দায় বাধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ হুমকি দিচ্ছে, দিনটি উপলক্ষে দেশব্যাপী বিএনপি যাতে কালো পতাকা মিছিল করতে না পারে সেজন্য প্রশাসন যন্ত্রকে টর্চারিং মেশিন হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। থানার দারোগা পুলিশ গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি কার্যালয়গুলোতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
এমসি/জেডএস