তিনি বলেন, জনগণ ভেবেছিলো দেশে একটা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দেশের মানুষ যে অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে পড়েছে, আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাৎক্ষণিক এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একইসঙ্গে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে সত্যতার খুব একটা সম্পর্ক নেই। সবাই জানে ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছিলো সেখানে মাত্র ৫ শতাংশ বা তারও কম মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। এতেই প্রমাণ হয়, আসলে তারা আন্তরিক নন।
এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। তার ভাষণ জনগণকে আশাহত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কের অগ্রযাত্রায়’ কিন্তু আমরা মনে করি, দুর্নীতির মহাসড়কের অগ্রয়াত্রা। তারা যে উন্নয়নের কথা বলছেন, এর মধ্যে দুর্নীতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে সব দলকে তিনি পাশে চান। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে যে সংকট ছিলো তা রয়েই গেলো। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমঝোতার কোনো ইঙ্গিত আমরা দেখতে পেলাম না।
এ বিষয়টি অনেক বড় হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, এ অন্যায়গুলোকে এ দেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না। এবং তারা সত্যিকার অর্থে একটি অর্থবহ নির্বাচন দেখতে চায়।
'নির্বাচনে কোনো ধরনের নৈরাজ্য বা সহিংসতা সহ্য করা হবে না’ হাসিনার এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, গোটা জাতি যেখানে অপেক্ষা করছে দেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হোক। তার এ বক্তব্য আরো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
সংবিধানের অনুযায়ী যে নির্বাচনের কথা বলেছেন, সংবিধান কারা তৈরি করেছে। এ সংবিধান কাদের সংবিধান। কাদের নিয়ে এ সংবিধান তৈরি করা হয়েছে। এখানে জনগণের আশা আকাঙ্খার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। যে ব্যবস্থাকে জনগণ মেনে নিয়েছিলো, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে একতরফাভাবে বাতিল করে, তারা একটা সংকট তৈরি করেছে। যেটা জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ বক্তব্য কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, এ বক্তব্য জাতি হতাশ হয়েছে। এ সমস্যার সমাধান হবে না। এ বক্তব্য নিঃসন্দেহে জাতিকে আরেক দফা সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। 'যেমন পঞ্চদশ সংশোধনী করার পর খালেদা জিয়া যেমনভাবে বলেছিলেন যে, পঞ্চদশ সংশোধনী দেশকে একটা অস্থিতিশীল অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
এএম/ওএইচ/