বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে গোয়েন্দারা সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছে।
খালেদা জিয়াকে কোনোভাবেই সাজা দেওয়া সম্ভব নয় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে কোনোভাবেই সাজা দেওয়া সম্ভব না। কারণ এটি মিথ্যা ও বানোয়াট এবং কোনো ধরনের তথ্য ছাড়া একটি মামলা। কিন্তু সরকারের মন্ত্রীরা আদালত অবমাননা করে বলেছেন খালেদা জিয়ার সাজা কে আটকায়!
আওয়ামী লীগের পরাজয় শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুসিক, রসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছে। সেই সঙ্গে বিএনপি কুসিক নির্বাচনে জয় লাভ করেছে আর রসিক নির্বাচনে ভোট বেড়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের এমন শোচনীয় পরাজয় হবে যে, তাদের প্রার্থীদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করে রেখেছে। বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা নির্বাচনে যাব। তবে শেখ হাসিনার অধীনে নয়। নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারে অধীনে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা এবিএম মোশারফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এমএসি/এমজেএফ