ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্যে তোলপাড়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্যে তোলপাড় বিএনপির ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী

ঢাকা: বিএনপির ইফতার পার্টিতে বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্য নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা।

শনিবার (১৯ মে) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। এতে ২০ দলীয় জোট ছাড়াও কয়েকটি দলের নেতারা অংশ নেন।

বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আজকে বিএনপির কর্মীদের ভয়ে বুক কাপে। কাপবে না কেন? তারা ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। কী হবে যদি আবার সরকারি দল ক্ষমতায় আসে- এবারে আমাদের কী হবে? এটা স্বাভাবিক শঙ্কা। অভিজ্ঞতায় বলে খুব সুবিধা হবে না।

একইভাবে সরকারের কিছু কিছু রাজনৈতিক কর্মী আমার কাছে আসছেন, তাদেরও বুক কাপে। যদি বিএনপি আসে তাহলে তাদের কী হবে? এটা কি খুব ভালো কথা? এটা কি রাজনীতির জন্য শুভ, এটা কি দেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ? এটা কি ইঙ্গিত নয় যে, এমন একটা পর্যায় দেশ যেতে পারে যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করবে, নিগৃহীত করবে, জেলে দেবে, আগুন জ্বালিয়ে দেবে। কিন্তু থামাবে কে? আমি চিন্তার খোরাক দিয়ে গেলাম। ”
 
বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরো বলেন, “এমন একটা শক্তি দরকার যে ওদিকেও কনট্রোল করতে পারে, এদিকেও কনট্রোল করতে পারে। তারা যদি উঠে আসতে পারে। বলে দেয়, তোমরা যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দাও তাহলে সমর্থন উইথ ড্র করবো, গোল্লায় যাও, বিরোধী দলে যাও। তাহলেই দেশ রক্ষা পেতে পারে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমাদের দেশে যেন সেরকম দুযোর্গ না আসে। আমরা যেন মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোভাসতে শিখি। ”

তার বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরপরই এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম সাংবাদিকদের কাছে এসে বলেন, “এই ইফতার মাহফিলে এসে বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে আমরা আশাহত হয়েছি। এলডিপির পক্ষ থেকে খুব শিগগিরই এই বক্তব্যের জবাব দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। ”

এর আগে দলের পক্ষ থেকে রাজনীতিবিদদের স্বাগত জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইফতারে আসার জন্য আমি জাতীয় নেতৃবৃন্দকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রতি বছর আমরা এই ইফতারের আয়োজন করি। এই ইফতারের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আজকে তিনি আমাদের মাঝে উপস্থিত নেই। এই সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে আজ তাকে ইফতার করতে হচ্ছে। আমরা সবাই সেজন্য আজ ভরাক্রান্ত।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে, গণতন্ত্রের চরম সংকটে আমরা সবাই প্রত্যাশা করি, আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ মূল্যবান অবদান রাখবেন এবং সংকট উত্তরণে তারা নেতৃত্ব দেবেন। আমরা মনে করি এই সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবার জন্য আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে দেশের প্রয়োজনে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮ 
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।