ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট টার্নিং পয়েন্ট: মওদুদ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট টার্নিং পয়েন্ট: মওদুদ  সংবাদ সম্মেলনে ফ্রন্টের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বিএনপির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ছবি: বাদল/বাংলানিউজ

ঢাকা: জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জাতির ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। 

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ড. কামাল হোসেন গণতন্ত্র ও দেশকে ভালোবাসেন।

তাই এই বয়সে এসেও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করছেন তিনি। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এ ঐক্যফ্রন্ট জাতির ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে।  আজ এই ফ্রন্টের যে সংগ্রাম শুরু হলো তা এই সরকারকে বিদায় করে শেষ হবে।  

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি জনগণের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব দাবি জনগণের দাবি। সুতরাং জনগণের দাবি মানতে স্বৈরশাসককে বাধ্য করা হবে।

আরও পড়ুন>>
** 
বিএনপিকে নিয়ে কামালের ঐক্য ঘোষণা, বাদ বি চৌধুরী

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন এই এ রাজনৈতিক জোটের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে-

>> অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।

>> নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

>> বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

>> কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন, সামাজিক গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

>> নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্যন্ত বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।

>> নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে তাদের ওপর কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ না করা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যাবে না।

পড়ুন>>
**
জাতীয় ঐক্য গণমানুষের ফ্রন্ট: মির্জা ফখরুল

>> তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা এবং নতুন কোনো মামলা না দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,  সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন, তানিয়া রব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
টিএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।