ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকে জাতীয় ট্রাজেডি বললেন মওদুদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকে জাতীয় ট্রাজেডি বললেন মওদুদ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ/ছবি- শাকিল

ঢাকা: ‘২১ আগস্টে যে গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো তা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এটা অনেকটা জাতীয় ট্রাজেডির মতো ঘটনা’- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

শনিবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মওদুদ বলেন, ‘আমরা এ ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা করেছিলাম। কিন্তু আজ এক বিতর্কিত রায়ের মাধ্যমে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার বিচারকে বিতর্কিত করা হচ্ছে’।  

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর ইন্টারপোলের মাধ্যমে তদন্ত করেছিলাম। এফবিআই ঢাকায় এসেছিল। মুফতি হান্নানও প্রথমে এই হামলা একক সিদ্ধান্তে করেছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। কোনো তদন্ত বা স্বীকারোক্তিতেই কিন্তু কখনো তারেক রহমানের নাম আসেনি’।

‘বরং সেই সময় বিদেশি তদন্তকারীরা বলেছেন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা তখন তাদের সহযোগিতা করেননি। এখন তারা বড় বড় কথা বলে বেড়ান। এমন কি সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর জিপে তখন হামলা হয়েছিলো (গুলি) বলে দাবি করা হয়েছিলো। কিন্তু ফৌজদারি আইন অনুযায়ী সেই গাড়ি আলামত হিসেবে থানায় থাকার কথা থাকলেও তা না দিয়ে আলামত নষ্ট করা হয়েছে’- দাবি মওদুদের।

তিনি বলেন, ‘সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই হামলার তদন্ত করেছিলো। সেখানেও তারেক রহমানের নাম আসেনি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুফতি হান্নানকে অমানসিক অত্যাচার করে তারেক রহমান জড়িত বলে স্বীকারোক্তি নেয়। মুফতি হান্নান পরে আদালতে এই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন করেন’।

মওদুদ বলেন, ‘তারেক রহমান যখন দেশে ফিরে আসবেন, তখন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল করবেন। আদালত থেকে জামিন নেবেন। তিনি উচ্চ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। এই মামলা প্রত্যাহার হবে। রায়ও বাতিল হবে’।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশ আজ ঐক্যবদ্ধ। সারাদেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই ঐক্যের মাধ্যমেই এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের রায় কার্যকর করা হবে’।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সমাবেশ করে, ওয়ার্কার্স পার্টি সমাবেশ করে, চরমোনাই সমাবেশ করে। অথচ আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। এভাবেই সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা মুঠোবন্দি করে রেখেছে। সিলেটে সমাবেশের জন্য প্রথমে অনুমতি দেওয়া হলো, এখন তা বাতিল করা হলো। পরিবর্তে অকথ্য ভাষায় আমাদের আক্রমণ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যতোই আমাদের সমালোচনা করবে, ততই প্রমাণিত হবে বিএনপি সঠিক পথে আছে’।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় এ মানববন্ধন পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
আরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।