রোববার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে জিন্নাহই সব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনজন।
এর মধ্যে এস এ জিন্নাহ কবীরকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হলেও শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে ছোটবোন দেলোয়ারা বেগম পান্নাকে নিয়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন ডাবলু।
কার্যালয়ের দোতলায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নিচে নিরাপত্তাকর্মীরা ডাবলুকে বাধা দেন। তখন তার সমর্থকরা হইচই শুরু করেন। এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন ভাই-বোন। এসময় ডাবলু ও তার বোন দলের নেতাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এই প্রেক্ষিতে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ডাবলুকেই দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়। ডাবলুর মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। কিন্তু শেষতক সেই জিন্নাহ কবীরকেই দেওয়া হয় চূড়ান্ত প্রার্থিতার চিঠি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
যোগাযোগ করা হলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে এসএ জিন্নাহ কবীরের সব কাগজপত্র নেওয়া হয়েছে।
আর জিন্নাহ কবীর বাংলানিউজকে বলেন, এই আসনে আমিই ধানের শীষের একক প্রার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
কেএসএইচ/এইচএ/
** মনোনয়ন পেলেন দরজায় লাথি-ঘুষি মারা সেই ডাবলু