ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

হামলা করলে বুক পেতে নেবো: মির্জা আব্বাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
হামলা করলে বুক পেতে নেবো: মির্জা আব্বাস হামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন মির্জা আব্বাস

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, হামলা করলে করতে পারে, আমরা বীরের মতো বুক পেতে নেবো। বিএনপি নেতাকর্মীরা পলায়নপর হবে না, পালানোর কোনো সুযোগ নেই।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ করা হয়। এরপর রাজারবাগ এলাকার দক্ষিণ শাহজাহানপুরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একদিকে আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনীর অত্যাচার, আরেক দিকে পুলিশি অত্যাচার। আমরা কোনটা সহ্য করে নির্বাচন করবো? আমাদের রাস্তাটা কী? সরকারের কাছে জানতে চাই, কি করলে আপনারা খুশি হন, এই কথাটা দয়া করে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন। আপনারা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন থেকে সরবে না। জনগণ ভোট দিতে যাবে, সে ভোটের প্রতিফলন বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আসবে। তা না হলে জনগণ বুঝে নেবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন ধাপ্পাবাজি করেছে।  

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হামলা মামলা মোকাবেলা করেই নির্বাচনে এসেছি। এ ধরনের হামলা আমাদেরকে করলে করতে পারে, আমরা বীরের মতো বুকে পেতে নেবো। কিন্তু আমাদের পিঠে কোনো আঘাত লাগবে না। আমরা পলায়নপর হবো না। বিএনপির নেতাকর্মীদের পালানোর কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনী প্রচারণায় আমি আবারও নামবো।  

হামলার বিষয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সেগুনবাগিচার রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে প্রচারণা শুরু করি। পরে সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজারে যাই। এরপর বাজার থেকে বের হয়ে সেখানে দেখলাম একদল ছেলে মারমুখী মনোভাব নিয়ে আমার ছেলেদের রড, লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। তারা যখন দেখলো আমি বের হয়েছি তখন তারা আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা নির্বাচনে এসেছি, সহিংস কোনো আন্দোলনে যাইনি। এরকম ঘটনা আমরা পছন্দ করছি না, নিরস্ত্র অবস্থায় প্রচারণায় গিয়েছি, মারামারি করার প্রস্তুতি আমাদের নেই। এর মধ্যে এ ধরনের আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। যেভাবে আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমার ছেলেরা, নিরাপত্তারক্ষী যদি রক্ষা না করতো তাহলে এখানে হয়তো কথা বলতে পারতাম না।  

বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে যে অবস্থা হয়েছে, তারপরও আমি চেষ্টা করবো আমার এলাকার লোকজনের কাছে পৌঁছানোর জন্য, এরপরও যদি না পারি তাহলে এটা হবে আমার অপারগতা। ‘শারীরিক নিরাপত্তার কারণে হয়তো আমি পৌঁছাতে পারবো না। গোডাউনে পোস্টার লিফলেট পড়ে আছে, পোস্টার লাগাতে গেলেই ছেলেদের গ্রেফতার করছে। অথচ বিরোধীদলের পোস্টারে ছেয়ে গেছে ঢাকা শহর। এই যে বিরুপ আচরণ সরকারের। তারা তো সবই নিয়ে নিয়েছে আর কি বাকি আছে?’ 

প্রচারণায় যাওয়ার আগে রমনা ও শাহাবাগ থানায় জানিয়ে গিয়েছি, তবে রমনা থানা তাদের আবেদন গ্রহণ করেনি। রাস্তায় কোনো পুলিশ ছিলো না। হামলায় তার দলের ৬০ জনের মতো আহত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।