বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থীদের বৈঠক শেষে ফখরুল এ কথা বলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
সেই কারচুপির অভিযোগই আবার তুলে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে যে নিষ্ঠুর প্রতারণা ও প্রহসন জনগণের সঙ্গে করা হয়েছে, ইতোমধ্যে সেই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা প্রার্থীদের প্রতিবাদ ও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার যে চিত্র, সেটার স্মারকলিপি নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও প্রার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছি। এটা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে হস্তান্তর করবো। ’
‘আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি করছি। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে প্রত্যেক প্রার্থী তাদের অভিযোগ ও নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন জানিয়ে মামলা করবেন। ’
ঐক্যফ্রন্টভুক্ত বিএনপির নির্বাচিত পাঁচ এমপি হলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বগুড়া-৬ আসন), মোশারফ হোসেন (বগুড়া-৪), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২) ও হারুনুর রশিদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩)। আর গণফোরামের দুই এমপি হলেন- সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২) ও মোকাব্বির খান (সিলেট-২)।
এদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচনই প্রত্যাখ্যান করেছি। শপথতো পার হয়ে গেছে, আর কী শপথ নেবো আমরা? আমরা শপথ নিচ্ছি না। ’
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুসহ জোটের শীর্ষ নেতারা। আরও ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের দুই শতাধিক প্রার্থীও।
তবে এতে অনুপস্থিত ছিলেন গণফোরামের দুই এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান। তাদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বাংলানিউজকে বলেন, ‘তারা অসুস্থ, তাই আসেননি বৈঠকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/
** শপথ নিলেন না ঐক্যফ্রন্টের ৭ নির্বাচিত এমপি