তিনি বলেন, সরকারি দলের লোকদের অর্থে পরিচালিত একটি টিভি চ্যানেল ও মিথ্যাচারে নিয়োজিত কিছু সাংবাদিক এবং কয়েকটি প্রোপাগান্ডা ওয়েব পোর্টাল হলুদ সাংবাদিকতা করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, মিডিয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক রচনা প্রতিযোগিতায় নেমেছে। গত কয়েকদিন আগে এই আওয়ামী মিডিয়াগুলোতে খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমকে নাকি বেতন দেওয়া হচ্ছে না বলে মিথ্যা রিপোর্ট করেছে। আমরা খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, ফাতেমা বেগমের বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে, ভয়ভীতি দেখিয়ে ম্যানেজ করে এই সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
ফাতেমার পরিবারকে তার প্রাপ্য ছাড়াও অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ফাতেমা আদালতের নির্দেশনায় দেশনেত্রীর সঙ্গে আছে। দেশনেত্রীর নিজের হাঁটাচলাতে অসুবিধা হয়, তার একজন সাহায্যকারী দরকার হয়। সেই বিবেচনায় ফাতেমা তার সঙ্গে আছেন। এটাও এখন হিংসুক সরকারের সহ্য হচ্ছে না। তারা নিজেদের প্রপাগান্ডা মিডিয়ায় এই নিয়ে গল্প তৈরি করছে।
‘সৎ সাহস থাকলে তারেক রহমান দেশে ফিরতেন’— তথ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, যারা রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মতো ভোট করে তারা কতটুকু সাহসী তা জনগণই জানে। তারেক রহমান আইনগতভাবে জামিনে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। এখনও তিনি সুস্থ নন, চিকিৎসা চলমান রয়েছে। শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফসল ১/১১’র সরকার তারেক রহমানকে হত্যা করার জন্য অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। সেই নির্যাতনেই তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। এই ধরনের বর্বরোচিত নির্যাতন চালানোর পরও শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা প্রশমিত হয়নি, তারেক রহমান লন্ডনে থাকার পরও তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছে। ন্যায়বিচার করার জন্য বিচারককে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এটিতেই সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, দেশে ন্যায়বিচার নয়, আওয়ামী বিচারই শেষ কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ