সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে নয়াপল্টনে নিজ কার্যালয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি থেকে সম্প্রতি দুইজন নেতা পদত্যাগ করেছেন আরও কয়েকজনের নাম পদত্যাগের তালিকায় রয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেটা আমি জানি।
বিএনপি থেকে যারা অবসরে যাচ্ছেন বা পদত্যাগ করছেন এর পেছনে সরকারের কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, যা দেখিনা তা বলে আর একজনকে কেন অপমান করবো? তারা বয়স্ক মানুষ। তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এখানে সরকারের ইন্ধন বা চাপ আছে কি নাই সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
লেফট্যান্টে জেনারেল মাহবুবুর রহমান ও এম মোরশেদ খানের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, একমাত্র রাজনীতিতে কোনা অবসর নাই। কিন্তু সব পেশায় অবসর আছে। বয়সের একটা সীমাও আছে। শারিরীক সক্ষমতারও একটা সীমা থাকে। একমাত্র রাজনীতি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত থাকে।
‘বিএনপি স্কাইপে দলে পরিণত হয়েছে’ মোরশেদ খানের এমন বক্তব্যের বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সেটা বলতেই পারেন। স্কাইপিতো একটা আধুনিক পদ্ধতি। স্কাইপিতে দল চলছে, আলাপ আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রীও স্কাইপিতে বহু প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেন। তিনি ডিসিদের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও স্কাইপিতে কথা বলেন। এখন আধুনিক প্রযুক্তি যেখানে আছে সেখানে আমি কাজে লাগাবো না কেন? সুতরাং উনি যেটা বলেছেন সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, বিএনপি জাতীয়তাবাদী শক্তির একটা প্লাটফর্ম। জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে এই লোকগুলো মাঝে মধ্যে আসবে। কিছু সময় থাকবে আবার থাকবে না। কিন্তু প্লাটফর্ম খালি হবে না। চলন্ত ট্রেনে কিছু উঠবে কিছু নামবে স্টেশন ত্যাগ করবে তারপরও প্লাটফর্ম ভরপুর থাকবে। বিএনপি থেকে যেমন যাওয়ার নিয়ম আছে, তেমনি বিএনপিতে আসারও নিয়ম আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এমএইচ/এনটি