বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের অনেকে প্রশ্ন করেন আপনারা নির্বাচনে কেন গেলেন।
তিনি বলেন, আমি বারবার বলতে চাই যে এই ইসিকে সরাতে হবে, এই সরকারকে সরাতে হবে। একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এ সরকারের নেতারা বড় বড় কথা বলেন। তারা বন্দুক-পিস্তল দিয়ে গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছেন। জনগণের সরকারতো তারা নন। জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, রাস্তায় ১০০ জনকে জিজ্ঞাসা করুন, ৯০ জন বলবে এই সরকারকে আমরা চাই না। তারাতো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন আপনাদের পরিবর্তন চায়। তারা নতুন সরকার দেখতে চায়। তারা জনগণের সরকার দেখতে চায়। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সরকার দেখতে চায়।
খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে অন্য কেউ দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না দাবি করে ফখরুল বলেন, শীতের মধ্যে অত্যন্ত কষ্টে রয়েছেন তিনি। আমি গতকাল খবর পেয়েছি তাকে দেওয়ার জন্য একটি রুম হিটার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভয়ঙ্কর নির্মম এই সরকার সেই হিটারটাও অনুমতি দেয়নি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ২০২০ সাল যদি পরিবর্তনের বছর হয়, তাহলে ছাত্রদলকে দায়িত্ব নিতে হবে। এই সাল যেন হয় খালেদা জিয়ার মুক্তির বছর। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মুক্তির বছর। এই সাল যেন হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বছর।
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের পরিচালনায় সমাবেশে সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এমএইচ/জেডএস