তিনি বলেন, নির্বাচন সরকারের জন্য কতটা বিপদ বয়ে আনতে পারে, কতটা পরিবর্তন হতে পারে তা আমরা ৩০ জানুয়ারির দিন বুঝিয়ে দেবো। ঢাকাজুড়ে সমাবেশ করে সরকারের পতন করবো।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাসাস ও মাগুরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কবীর মুরাদের স্মরণসভায়’ তিনি একথা জানান।
জিয়া পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম সলিমুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ জিয়া পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অনেকেই বলেছিলেন কর্মসূচি দেন, রাস্তায় নামেন, আন্দোলন করেন। কিন্তু আমার গত কয়েকদিন ধরে মনে হয়েছে সরকার পতনের একটি পথ পাওয়া গেছে। সেটি হলো সিটি নির্বাচন। আজ ৪ জানুয়ারি, ৩০ জানুয়ারিতে ঢাকা সিটি নির্বাচন এই মধ্যে (২৬ দিনে) সরকার পতন করানো সম্ভব। ঢাকাতে বিএনপির ৩০ থেকে ৪০ লাখ ভোটার ও সমর্থক আছেন। থানা ওয়ার্ড মিলিয়ে বিএনপির কমিটিভুক্ত নেতা আছেন আড়াই লাখ। সবাইকে নামান। একজন নেতা নামলে পুরো ঢাকার নেতারা নেমে যাবেন। ঢাকা ঘিরে রাখলে ভোটারা আসবেন না। ভোট চোর থামানো নয়, রোধ করতে হবে। ওইদিন ঢাকাতে সমাবেশ করে সরকারের পতন করবো। তাই কেউ এ কয়দিন বলবেন না কর্মসূচি দেন, কর্মসূচি দেওয়া হয়ে গেছে। ফলাফল হবে ৩০ জানুযারিতে। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন।
কবীর মুরাদকে স্মরণ করে দুদু বলেন, কবীর মুরাদ অসাধরণ ব্যক্তি ছিলেন। তার মতো ব্যক্তি বিএনপিতে কম আছেন, তিনি আদর্শের প্রতিমূর্তি ছিলেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়া পরিষদ সৃষ্টির মূললক্ষ্য ছিলো জিয়াউর রহমানের আদর্শকে জনগণের সামনে তুলে ধরা। দেশে জনগণের মতামত সৃষ্টির যে ভূমিকা সেটা আজকে প্রেক্ষাপটে জিয়া পরিষদের ভূমিকা আমাদের থেকে অনেক বেশি। কবীর মুরাদ সেটা অনুভব করতে পেরেছিলেন বলেই জিয়া পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যে কারণে জিয়া পরিষদ হয়েছিলো তার পরিধি আজকে অনেক বেশি। রাজনীতি ও মানুষের মনোজগতের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখে আগামীদিনের বিএনপির দর্শন, ভাবনা এবং দেশের জনমত সৃষ্টিতে জনগণকে উৎজীবিত করবে। জিয়া পরিষদ সেলক্ষ্যে কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
জিসিজি/এএটি