মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে ড. মোশারফ বলেন, সরকারকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হতে হবে।
‘আজ জনগণ নির্বাচন থেকে সম্পূর্ণ বিমুখ। কয়েকদিন আগে ঢাকা শহরে নির্বাচন দেখেছি, সেখানে ১০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে আসেনি। মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আসেনি, ভোট দিতে আসেনি। ইভিএম মেনিপুলেট করে উত্তরে ২৫ শতাংশ এবং দক্ষিণে ২৯ শতাংশ ভোট কাস্ট দেখিয়েছে। আসলে ১০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে আসেনি। ’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সুজনের একটি রিপোর্টের উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এবারের সিটি নির্বাচন কোনো নির্বাচন হয়নি। এটা দেশের মানুষ জানে, সাংবাদিকরা জানে। গণতন্ত্রের প্রধান একটি অংশ নির্বাচন, সেটাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। ওটা ধ্বংস হলে গণতন্ত্রের জন্য অন্য যে ব্যবস্থা থাকার কথা সেগুলো কিন্তু অটোমেটিক ধ্বংস হয়ে যায়। আজকে যেমন গণতন্ত্র ধ্বংস, একই সাথে আমাদের অর্থনীতিরও একই অবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন মন্তব্য করে খন্দকার মোশারফ বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতি নিয়ে আতঙ্কিত। অথচ তিনি মানুষকে আওয়ামী কায়দায় বিভ্রান্ত করার জন্য বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির থেকেও শক্তিশালী। বাস্তবতা হচ্ছে আজকে ৯ থেকে ১১ টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে আছে। শুধুমাত্র সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা ব্যাংকগুলোকে সচল রেখেছে। আজকে বলতে হয়, এই ব্যাংকগুলো থেকে যে পরিমাণ অর্থ লুট হয়েছে তা হয়েছে দুটি উপায়ে। একটি- ভুয়া এলসি তৈরি করে, আরেকটি ভুয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান দেখিয়ে। এসব করে তারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এমএইচ/এইচজে