রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় তিনি সরাসরি ফিরছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি গাড়িতে ওঠেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই ভবন থেকেই পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেখান থেকে গত বছরের ১ এপ্রিল তাকে নিয়ে আসা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। এতদিন তিনি কারাবন্দি অবস্থায় এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০১০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসের মঈনুল রোডের বাসভবন ছেড়ে গুলশানে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসায় ওঠেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। ওই বছরই গুলশান ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর ফিরোজা নামের এ বাড়িটি ভাড়া নেন খালেদা জিয়া।
২০০১-২০০৬ পর্যন্ত খালেদা জিয়া সরকারের প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলামের ছেলের ওই বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার পর সংস্কার করে ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল ভাইয়ের বাসা ছেড়ে ওই বাড়িতে ওঠেন তিনি। দুই বছর এক মাস পর আবার তিনি সেই বাড়িতেই উঠতে যাচ্ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এতদিন ওই বাড়িতে গৃহকর্মী ছাড়া আর কেউ বসবাস করেননি। তবে তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথি মাঝে মধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় এলে উঠতেন ওই বাড়িতে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা ছয়মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তার এ ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নড়েচড়ে বসেন। যারা এতদিন ঝিমাচ্ছিলেন, তাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আদৌ জীবিত অবস্থায় নিজ বাসায় ফিরতে পারবেন কি-না, এমন চিন্তায়। তারা সবাই চাঙা হয়ে যান। শুরু হয় ধোয়ামোছার কাজ। এরপর রাত ১১টা নাগাদ অনেকটা প্রস্তত হয়ে যায় বাড়িটি।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, বাড়ি রেডি আছে। বাড়িতে ম্যাডামের সিএসএফ (চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স) সদস্য ও তার সঙ্গে যারা থাকতেন, তারা আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
এমএইচ/টিএ