সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, আমরা এ কথাটা বার বার বলেছি যে, আমরা কখনোই সমালোচনার জন্য সমালোচনা করছি না, আমরা সরকারকে সাহায্য করতে চেয়েছি।
এখন পর্যন্ত একটা জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যেটা করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশতো একশ ৬০ মিলিয়নের দেশ। এখানে একেবারে নিচের দিককার অর্থনীতি। সেখানে এ ধরনের সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে যদি একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা যায় সেটাই হবে দেশের জন্য ভালো কাজ। আমরা মনে করি যে, এখনও সময় আছে জাতীয় কমিটি গঠন করার, এটা গঠন করা উচিত।
কিভাবে এ কমিটি হতে পারে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা আমি আগেও বলেছি। প্রধানমন্ত্রীকেই উদ্যোগ নিতে হবে, পলিটিক্যাল পার্টি, সিভিল সোসাইটি..। এগুলো করতে একসঙ্গে বসে মিটিং করতে হবে- তা বলছি না। ঘোষণা করে আপনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই এটা করতে পারেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে যদি সেই কাজে লাগানো যায় এবং অন্যদিকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা আছেন একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার যারা আছেন তাদের সম্পৃক্ত করে যদি সেই কাজগুলো করা যায়, রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি সম্পৃক্ত করা যায়, তাদের একসঙ্গে করা যায়-অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে। তার জন্য বরাদ্দ থাকতে হবে, তার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী থাকতে হবে।
হাসপাতালের বর্তমান চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এখন ঢাকার অবস্থা কি দেখছেন, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য কোনো রোগে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে …। আজকের পত্রিকায় আছে যে, একজন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগী ৮টি হাসপাতালে ঘুরে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করতে পারছেন না। আমরা যে কারণে বার বার বলেছি, বিষয়টাকে পুরোপুরি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে এ জাতিকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/