শনিবার (৬ জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নারী, পুরুষ সবাইকে নির্বিশেষে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে হয়রানির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেউ যেন সমালোচনা বা টু শব্দও করতে না পারে।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে সাটুরিয়া থানাপুলিশ তিল্লি গ্রামের বিএনপি নেতার মেয়ে ও নেত্রী মাহমুদা পলি আক্তারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া গুজব ছড়ানোর মিথ্যা অভিযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার চন্দনাইশ উপজেলার ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
সরকারের এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির প্রবীণ এ নেতা বলেন, সরকার নিজের অবৈধ সত্তা নিয়ে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে আছে। তাই সমালোচনাকে যমের মতো ভয় পাচ্ছে। এক অজানা আতঙ্কের মধ্যে সরকার হাবুডুবু খাচ্ছে। চারদিকে সীমাহীন ব্যার্থতা, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বাঁধভাঙ্গা পানির স্রোতের মতো দেশের জনগণ আক্রান্ত হচ্ছে। মৃত্যুর সারি দীর্ঘ থেকে র্দীঘতর হচ্ছে।
‘এ দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের কোনো চিকিৎসা নেই। হাসপাতালে করোনা রোগীদের ভর্তি যেন এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আইসিইউ ও অক্সিজেনের অভাবে আক্রান্ত রোগীরা অসহায়ভাবে কাতরাচ্ছে। রোগীর তুলনায় শয্যা একেবারেই অপ্রতুল। আক্রান্ত মানুষ এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে ছুটতে রাস্তার মধ্যেই মারা যাচ্ছে। ’
দেশের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে এ নেতা আরও বলেন, চারদিকে ক্ষুধার জ্বালায় কর্মহীন মানুষ হাহাকার করছে। সারাদেশে এক দুর্ভিক্ষের ঘন ছায়া বিস্তার লাভ করছে। এই কঠিন দুঃসময়কে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা না করে সরকার মিথ্যা অহমিকায় জনগণের কাছে সত্যের অপলাপ করছে। আর বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মত যাতে মাথা চাড়া দিতে না পারে সে জন্য আগের মতোই রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগানো হচ্ছে নির্দয়-নিষ্ঠুরভাবে।
‘পলির মতো একজন নারী নেত্রীও গ্রেফতারের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এই করোনাকালেও পলি ও সাজ্জাদের মতো বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সরকারের এহেন কর্মকাণ্ড অমানবিক ও কাপুরুষোচিত। আমি অবিলম্বে মাহমুদা পলি আক্তার ও সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এমএইচ/এইচজে