শনিবার (১৩ জুন) রাতে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় তিনি দেখা করতে যান তিনি।
এক ঘণ্টার এই সাক্ষাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক খোঁজ নেন মির্জা ফখরুল।
তবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একটি সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুলকে ডেকেছিলেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার কারামুক্তির পর দলের মহাসচিবের এটা তৃতীয় সাক্ষাৎ। এরমধ্যে দুই দফায় দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ার পর গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ৬ মাস সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং দেশেই চিকিৎসা নেবেন-এই দুই শর্তে মুক্তির পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসায় ওঠেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসাতেই আছেন।
এদিকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে এক সুত্র জানায়। তবে তার বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের অনুমতি পাবে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার এসব বিষয় নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে দেন-দরকার করছেন।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, চেয়ারপারসনের সঙ্গে মহাসচিব দেখা করেছেন কিনা সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
এমএইচ/এএটি