ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

সংসদ নির্বাচন: ইসির বাজেট বাড়ল ৯৮৩ কোটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
সংসদ নির্বাচন:  ইসির বাজেট বাড়ল ৯৮৩ কোটি

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য বাজেট আগের বছরের তুলনায় ৯৮৩ কোটি টাকার বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন।

ইসির জন্য পরিচালন খাতে দুই হাজার ১২৪ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ২৮২ কোটি টাকাসহ মোট দুই হাজার ৪০৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন তিনি।

২০২২-২৩ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছিল মোট এক হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৭৮৯ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ৭৪৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এবার ৮৬৮ কোটি টাকা বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে গত বছর সংশোধিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় কমিয়ে রাখা হয়েছিল ৬৭৪ কোটি টাকা। এতে সংশোধিত মোট বাজেট দাঁড়িয়েছিল এক হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। এদিক থেকে গত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৯৮৩ কোটি টাকার মতো এবার বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিম্নবর্ণিত উল্লেখযোগ্য কার্যাবলী/প্রকল্প/কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে-

ক) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন, ৬টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, ৯টি পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন, ৪৫৪টি উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন, ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পাদন।

খ) কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন।

গ) ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কার্যক্রম গ্রহণ।

ঘ) পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত, মুদ্রণ ও বিতরণ।

ঙ) উন্নতমানের (স্মার্ট) জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান।

চ) শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সের নিচে নাগরিক নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান।

ছ) এনআইডি সিস্টেমের (সিএমএস, বিভিআরএস, এএফআইএস, স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং সফটওয়্যার) অডিট (আইএসও/সমপর্যায়ের) ও ডকুমেন্টেশন।

জ) প্রবাসে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধনকরণ ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান।

ঝ) এনআইডি মিনি আর্কাইভ/লাইব্রেরি স্থাপন।

ঞ) বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, কালিয়াকৈর এ ডিআরএস (ডিজেস্টার রিকোভারি সিস্টেম) স্থাপন।

ট) জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই/সনাক্তকরণ সংক্রান্ত পার্টনার সার্ভিস অব্যাহত রাখা।

ঠ) নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।

এদিকে পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে মজুরি ও বেতন বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০১ কোটি টাকা। এছাড়া পেশাগত সেবা, সম্মানী ও বিশেষ ব্যয়ের জন্য ধরা হয়েছে ১০৭ কোটি টাকা।

বাজেট প্রস্তাবে রাজস্ব আহরণের খাত হিসেবে এনআইডি ফি থেকে ৮৩ কোটি টাকা, বাজেয়াপ্ত নির্বাচনী জামানত থেকে ১২ কোটি টাকাসহ অন্যান্য খাত থেকে ১০২ কোটি দেখানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
ইইউডি/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।