ঢাকা: ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতি অঙ্গনে ৬৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আগের অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৬৩৭ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ভাষা, সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত, নাটক ইত্যাদির বিকাশে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশজ সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন শিল্প-সাহিত্যের গবেষণা, প্রদর্শন, প্রকাশনা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো চিহ্নিতকরণ, খনন, সংস্কার, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট সংরক্ষণসহ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ভাষা শহিদ দিবস এবং বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উদযাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের ৭টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। মনীষী ও গুণীজনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নিয়মিত পুরস্কার/সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দিয়েছেন তার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে। ’ আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব রয়েছে এই বাজেটে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে। আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
এইচএমএস/আরআইএস