রোববার (০৮ এপ্রিল) এনবিআরের কনফারেন্স কক্ষে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা'র (এমসিসিআই) সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এনবিআর’র পক্ষে এনবিআর’র সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বাজেট নির্বাচনী না হয়ে যেন জনকল্যাণমূলক হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা হবে। সরকারের উন্নয়ন বাজেটে হয়তো নির্বাচনী প্রভাব থাকতে পারে। তবে আমরা যে ফিসকাল পলিসি করবো, সেগুলো আগের বছরের বাজেটের ধারাবাহিকতায় করা হবে। এতে ইকোনকির গ্রোথ বাড়বে। নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশে বিনিয়োগ বাড়বে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এমসিসিআই নেতারা বলেন, অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা মনে করেন যেহেতু এ বছর নির্বাচনী বছর, তাই সরকার নির্বাচনমুখী বাজেট প্রণয়ন করবে। তবে আমরা আশা করছি, সরকার নির্বাচন বিবেচনা না করে সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নতির দিকে নজর রেখে বাজেট প্রণয়ন করবে। যে বাজেট জনকল্যাণ ও ব্যবসাবান্ধব হবে।
এমসিসিআই’র লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সাধারণ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা করা। সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা। তাদের দাবি, এ করহারের সামান্য হ্রাসে ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে তাদের সত্যিকার আয়কর প্রকাশে উৎসাহিত করবে এবং কর ফাঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
এছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতায় (সিএসআর) ব্যয়কৃত অর্থ সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত রাখা, পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিলে সেক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা দেওয়াসহ ভ্যাট টেক্স এবং শুল্ক সুবিধাসহ মোট ৫৮ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়।
প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নন সাবমিশন অফ রিটার্নের বিষয়টি সহজতর করা হবে। টেক্স ও সারচার্জ নিয়ে কি করা যায় তাও ভাবা হবে। লভ্যাংশের ওপর যাতে ডাবল কর না আরোপ করা হয় সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি। এছাড়া বিভিন্ন সুপারশপ থেকে উৎসে কর কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু সমন্বয়ের সময় সমস্যা হয়। এ বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমএফআই/এসআই