মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন বিপিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, নিট পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বিপিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক খেলনা সামগ্রীতে ট্যারিফ মূল্য বাড়ানো না হলে নিম্নমানের সস্তা পণ্যে বাজার সয়লাব হবে।
তিনি বলেন, উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির ফলে দেশীয় উৎপাদিত পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বর্তমান ট্যারিফ ভ্যালু যথাযথ মূল্যভিত্তিক নয়। বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ঊর্ধ্বগামী উপকরণ মূল্যের অনুপাতে ট্যারিফ ভ্যালু প্রস্তাবিত হারে ধার্য করার প্রস্তাব করছি।
প্লাস্টিক শিল্পের জন্য আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ এবং প্লাস্টিক উপকরণের ওপর আমদানি শুল্ক, মূসক এবং সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সারকুলার জারি, প্লাস্টিক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি শুল্ক ২ শতাংশ করা, ওষুধ শিল্প, কৃষি ও খাদ্যের মোড়ক হিসেবে ব্যবহৃত মধ্যবর্তী পণ্যের কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ করা, তৈরি প্লাস্টিক পণ্য আমদানি পর্যায়ে যে সমস্ত পণ্যে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) সাবসিডারি ডিউটি (এসডি) এবং রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) রয়েছে সেখানে আরো বেশি আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়াও প্লাস্টিক শিল্পের কোম্পানির জন্য উৎসে কর ৩ শতাংশ, করপোরেট কর ১২ শতাংশ করা, ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার পাশাপাশি প্লাস্টিক খাতকে কর অবকাশ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ