বৃহস্পতিবার (৭ জুন) পৌনে একটার দিকে তিনি বক্তৃতা শুরু করেন। এর আগে সাড়ে ১২টার কিছু পরে অর্থমন্ত্রী প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ অধিবেশন কক্ষে যান।
বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পেশ করছেন। এরপর শুরু করবেন ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন।
সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটটি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়।
এবারের বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। বিগত অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে তাজউদ্দিন আহমেদ ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারের আমলে ১৪ জন অর্থমন্ত্রী (অর্থ উপদেষ্টা অথবা সামরিক আইন প্রশাসক) ৪৬টি বাজেট পেশ করেছেন।
সেই হিসেবে এবার ৪৭তম বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত। যা ২৮ জুন সংসদে পাস হবে।
তিন মেয়াদে সর্বোচ্চ বারোটি বাজেট দেওয়ার রেকর্ডটি এতোদিন ছিল প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের। এবার নিজের ১২তম বাজেট পেশ করে সাইফুর রহমানের সেই রেকর্ডে ভাগ বসাচ্ছেন ৮৫ বছর বয়সী মুহিত। আর আওয়ামী লীগ সরকারের এটা ১৮তম বাজেট।
অবশ্য টানা বাজেট দেওয়ার রেকর্ড মুহিত আগেই নিজের করে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের (২০০৯-২০১৪) পাঁচটি বাজেটের সঙ্গে এবারের পাঁচটি মিলিয়ে বৃহস্পতিবার টানা দশম বাজেট দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
এবার ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ১০৩ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতা দেবেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৯
এমএ/