বৃহস্পতিবার (০৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এবং ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের কারণে আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের ধরন ও আকারে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
‘ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রচুর আয় করছে, কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমরা তেমন একটা কর পাচ্ছি না। ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টি তুলনামূলক নতুন বিধায় এসব লেনদেনকে করের আওতায় আনার মতো পর্যাপ্ত বিধান এতদিন আমাদের কর আইনে ছিল না। আমি ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল খাত যেমন- ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদির বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের উপর করারোপণের জন্য আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে প্রয়োজনীয় আইনি বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করছি। এর ফলে আমাদের করের আওতা বাড়বে। ’
অর্থমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আমরা দেরিতে শুরু করলেও বর্তমানে বেশ এগিয়ে আছি। আমাদের কর ব্যবস্থাকে আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি-ব্যবহার উপযোগী করার অনেক উদ্যোগ আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। এর ধারাবাহিকতায় আমি এ বছর থেকে করদাতাকে ই-মেইলে নোটিশ পাঠানোর বিধান কর আইনে সংযোজন করার প্রস্তাব করছি।
এছাড়া, বিভিন্ন দফতর ও এজেন্সির কাছে করদাতার যে আর্থিক তথ্য থাকে তা কর বিভাগের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেয়ার করার বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করছি। এর ফলে কর ফাঁকি মোকাবেলা করা অনেক সহজ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ