২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। যা সংশোধনীতে গিয়ে দাঁড়ায় ২৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ বরাদ্দ প্রস্তাব করেন। তিনি মোট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন সংসদে।
অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতায় গ্যাসের উন্নয়ন বাড়ানোর লক্ষ্যে ৪টি ওয়ার্কওভার কূপ, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উৎপাদিত গ্যাস ও আমদানিতব্য এলএনজি গ্যাসীয় ফর্মে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের জন্য বিভিন্ন স্থানে ৫৪ কিলোমিটার সঞ্চালন পাইপলাইন সম্প্রসারণের কথা বলা হয়।
মুহিত নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য ৩ হাজার লাইন ২-ডি ও ৫৫০ বর্গ কিলোমিটার ৩-ডি সাইচমিক সার্ভে, ইস্টার্ন রিফাইনারির পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তার বক্তৃতায়।
তার উপস্থাপন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগে পরিচালনে ৪৩ কোটি এবং উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। এ খাতে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৬ হাজার মেগাওয়ার্ট থেকে ১৯ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গ্যাসের স্বল্পতার কারণে এলএনজি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৫’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি নতুন সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন স্থাপন এবং বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আর জ্বালানি খাতের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা। এখাতে উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এসআই/এইচএ/