বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের উত্থাপিত বাজেটে এ প্রস্তাব করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ক্যান্সার ও কিডনি রোগের প্রতিষেধক আমদানিতে মূসক অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করছি।
তিনি বলেন, দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষেরা প্রতিকেজি ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত পাউরুটি ও বনরুটি, হাতে তৈরি বিস্কুট ও হাতে তৈরি কেক (পার্টিকেক ব্যতীত) খেয়ে থাকেন। তাই প্রতিকেজি ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত পাউরুটি, বনরুটি, হাতে তৈরি বিস্কুট এবং ১৫০ টাকা পর্যন্ত হাতে তৈরি কেক (পার্টিকেক ব্যতীত)-এর উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করার প্রস্তাব কছি।
হাওয়াই চপ্পল নিয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ব্যবহার করেন। এই পণ্যটি দরিদ্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা ও প্লাস্টিক রিসাইক্লিং শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকার ওপর ভ্যাট (১৫০ টাকা পর্যন্ত) অব্যাহতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করছি।
এচাড়াও পরিবেশ দূষণ এবং জ্বালানি ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য হাইব্রিড গাড়ির আমদানি উৎসাহিত করার জন্য ১৮শ’ সিসি পর্যন্ত হাইব্রিড মোটরগাড়ি আমদানি সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
এগুলোর পাশাপাশি বাজেটে মোটরসাইকেল উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত বীজ আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া, কৃষি জমির রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়াও রড, সিমেন্ট, বল পয়েন্ট কলম, ক্যানসারের ওষুধ, টায়ার-টিউব তৈরির কাঁচামাল, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ, ডে কেয়ার হোম সার্ভিস, আমদানি পল্ট্রি খাদ্য, দেশীয় রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার, গুঁড়ো দুধ ইত্যাদি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক এবং আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে।
দাম বাড়ছে যেসব পণ্যের
প্রস্তাবিত বাজেটে (২০১৮-১৯) আমদানি করা চালের দাম বাড়ছে। চাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে সব ধরনের চাল আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক ৩ শতাংশ প্রযোজ্য হবে।
প্রস্তাবিত এই বাজেটে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে তামাকজাত পণ্য বিড়ি, সিগারেট, গুল ও জর্দার দাম বাড়ছে।
বাজেটে নতুন কর, আমদানি শুল্ক এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবে পলিথিনের পণ্য ও প্লাস্টিক ব্যাগের দামও বাড়তে যাচ্ছে। সানস্ক্রিনসহ হাত, নখ ও পায়ের প্রসাধনী সামগ্রী, শেভিং ক্রিম ও জেলসহ অন্যান্য সামগ্রী, শরীরের দুর্গন্ধ ও ঘাম দূরীকরণে ব্যবহৃত পণ্যেরও দাম বাড়তে পারে।
এছাড়াও কফি, গ্রিন টি, সুগার কনফেকশনারি, আমদানিকৃত মোবাইল সেট ও ব্যাটারি চার্জার, ইউপিএস/আইপিএস (২০০০ ভোল্ট অ্যাম্পায়ার পর্যন্ত), ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার (২০০০ ভোল্ট অ্যাম্পায়ার পর্যন্ত), অটোমেটিক সার্কিট ব্রেকার, ল্যাম্প হোল্ডার, ব্যবহৃত বা পুরনো গাড়ি এবং বাইসাইকেলের দাম বাড়তে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ