চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নির্বাচনের বছরে চার লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুর পৌনে ১টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। সাত দশমিক আট শতাংশ জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার। যাতে করে নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে চাপে না পড়েন দেশবাসী।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর জন্য আমরা যেসব উদ্যোগ নিয়েছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারসহ তিনটি কিচেন মার্কেট স্থানান্তর, ভূ উপরিস্থ পানির তিনটি শোধনাগার ও এক হাজার ২৯১ কিলোমিটার পানির লাইন নির্মাণ, ১৮৪টি গভীর নলকূপ স্থাপন, সড়ক-নর্দমা-ফুটপাত নির্মাণ ও উন্নয়ন, সবুজায়ন এবং উন্মুক্ত স্থানগুলো আধুনিকায়ন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ঢাকা নগরবাসীর পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা এখনকার ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ৬০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য ঢাকা ওয়াসা বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ২৫ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন এবং ২৯০ কিলোমিটার ড্রেনের আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এমআইএইচ/এমআইএস/এসআই