বৃহস্পতিবার (০৭ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখায় আয় ও ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ ১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা।
একই অর্থবছরের বাজেটে সর্বমোট সরকারি ব্যয়ের নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ ব্যয় ২৮ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা হ্রাস করে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা হতে কিছুটা হ্রাস করে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮১ কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে (জিডিপি’র ৬.৬ শতাংশ)। অন্যদিকে, পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয়ের প্রাক্কলন হ্রাস করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮২১ কোটি টাকা।
একই সময়ে ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা সংশোধিত বাজেটে ২৩৪ কোটি কমিয়ে ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৪১ কোটি টাকা।
মূল বাজেটে ঘাটতির বিপরীতে বৈদেশিক সূত্র হতে অর্থায়নের প্রাক্কলন ছিল ৫১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কিছুটা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ২৪ কোটি টাকায়। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য সূত্র হতে অর্থায়নের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
মুহিত বলেন, পাইপলাইনে থাকা বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়ায় চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত প্রকল্প সাহায্যের ব্যবহার হয়েছে বার্ষিক বরাদ্দের প্রায় ৬১.১ শতাংশ, বিগত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল বার্ষিক বরাদ্দের ৪৭.৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এসই/এসএইচ