বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ পুনঃআরোপ করার প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গম, ভুট্টা, আলু ও কাসাভা থেকে উৎপাদিত স্টার্চের শুল্ক হার যৌক্তিকীকরণ করে আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি ডিউটি ১০ শতাংশ হারে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
এর আগে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে যাওয়া চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ২০ জুন আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। এরপর দুই দফায় চাল আমদানিতে নির্ধারিত ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করে সরকার। কিন্তু এবার বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং ঘাটতির তুলনায় ১০ গুণের বেশি চাল আমদানি হওয়ায় কৃষকের স্বার্থ চিন্তা করে পুনরায় সরকার চাল আমদানির ওপর ধার্য করা শুল্ক ২৮ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এমএফআই/আরআর