বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট উত্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্টজনেরা এই প্রতিক্রিয়া দেন।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ।
এই বাজেট দেশের সংস্কৃতিচর্চার জন্য মোটেও সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের। নাট্যকার মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা দাবি করেছিলাম মূল বাজেটের ২ শতাংশ যেন সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ হয়। সেটা করা হয়নি। তবে কি সরকার চায়, সংস্কৃতি আরও ধ্বংস হোক? মূল বাজেটের অন্তত ১ শতাংশ সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানাই।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক। দেশব্যাপী শুদ্ধ সংস্কৃতিচর্চাকে এগিয়ে নিতে চাইলে এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, মূল বাজেটের এক শতাংশ করা হোক সংস্কৃতিখাতে বরাদ্দ।
দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেই আমরা কেবল সংস্কৃতিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে গলা ফাটাই, অথচ বাস্তবে সংস্কৃতিচর্চাকে লালনের জন্য কোনো পৃষ্ঠপোষকতা করি না বলে মনে করেন সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
সংস্কৃতি অঙ্গনে এবারের বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, এই বাজেট দেখে আমরা হতাশ, বিস্মিত। সংস্কৃতিখাতে মূল বাজেটের ১ শতাংশ করার দাবি ছিল আমাদের। সেটা করা হয়নি। এখনো সুযোগ আছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি সংস্কৃতি খাতের বাজেট বাড়ানো হোক।
চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) বলেন, চলচ্চিত্র খাতের বরাদ্দ আরেকটু বাড়ানো যেতো। এবার যেটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেটা সামগ্রিক বরাদ্দের তুলনায় সামান্যই বলবো। চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার এই খাতে রাষ্ট্রের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাও জরুরি। তবে সামগ্রিক বাজেট সন্তোষজনক, এই বাজেট দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএ/