বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন বক্তব্যে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তব্যে তিনি বলেন, আর্থিক খাতে বিশেষ কোনো ইন্সট্রুমেন্টের ব্যবহার ছিল না।
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলো হলো: পর্যায়ক্রমে ব্যাংকের মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো; ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশোধন আনা, যাতে করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অঙ্গসমূহ যথা- ভ্যাট, কাস্টমস এবং আয়কর সংক্রান্ত আইনসহ অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় তা নিশ্চিত করা; যেসব ঋণগ্রহীতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার জন্য (ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি) সেই সমস্ত ঋণ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া; দেশের শিল্প ও ব্যবসা খাতকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করার লক্ষ্যে ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অংকে আনা; হোল্ডিং কোম্পানি এবং সাবসিডিয়ারি কোম্পানি সমূহের কার্যক্রম যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এতো দিন ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ গ্রহীতা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার জন্য কোনো ধরনের ‘এক্সিট’-এর ব্যবস্থা ছিল না। এবার এ কার্যক্রমটি আইনি প্রক্রিয়ায় সুরাহার লক্ষ্যে একটি কার্যকর ইনসলভেন্সি আইন ও ব্যাংক্রাপ্টসি আইনের হাত ধরে ঋণ গ্রহীতাদের এক্সিটের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
একই সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা সুদৃঢ় করার জন্য একটি ব্যাংক কমিশন প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
জিসিজি/এসআরএস