বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের পর বাংলানিউজকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, সেটা বাস্তবের সঙ্গে কোনো মিল নেই।
দেশের পুরো অর্থনীতি হুমকির সম্মুখিন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতে ধসের সম্ভাবনার কথা যে সবাই বলছে- এই জিনিসটা যে সরকার বুঝেছে, বাজেটে তার কোনো লক্ষণ নেই।
দলীয়ভাবে বাজেট বিশ্লেষণ করে শনিবার (১৫ জুন) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান রেজা কিবরিয়া।
গতানুগতিক বাজেট, এ দিয়ে পরিবর্তন আসবে না
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজকে বলেন, গতানুগতিকভাবে যে পন্থায় বাজেট পেশ করা হয়, একই পন্থায় পেশ করা হয়েছে। এটা দিয়ে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
উন্নয়ন বাজেটের অধিকাংশ অর্থই লুট হয় উল্লেখ করে রতন বলেন, এ ধরনের রাষ্ট্র ব্যবস্থাপণায় বাজেট কার্যকর হয় না।
রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে নতুনভাবে বাজেট উত্থাপনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নিন্মবিত্ত, গরীব, বিধবা অসচ্ছল বৃদ্ধ যারা অন্যের ঘরে কাজও করতে পারে না, আবার নিজের ঘরে খাবারও থাকে না, এদের জন্য একটা রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা উচিত। এছাড়া তাদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা ফ্রি হওয়া উচিত।
মোবাইল ফোনের কলরেটে কর বাড়ানোর বিষয়ে রতন বলেন, এগুলোরতো অবশ্যই বিরোধীতা আছে, এটা আমরা সমর্থন করি না। এটা দিয়ে আসলে যোগাযোগ মাধ্যমকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, সবার মতো তাৎক্ষণিকভাবে আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া দেবো না। বাজেট পুরোটা পড়ে বুঝে বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এমএইচ/এসআরএস