ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, তা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে কোনো ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে না। বরং সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হবে।

রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কর্তৃক আয়োজিত বাজেট সংলাপ অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

সিপিডির বাজেট বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান করা সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে বাজেটে বরাদ্দ বেশি আসেনি। এবারের বাজেট সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বিত হয়নি।

বাজেট সংলাপের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো ফল দেবে না। বরং সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হবে। এটি সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণেও বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজেটের কারণে দুধ ও মোবাইল ফোনের কর বেড়েছে। যার ফলে নিম্নবিত্তরা চাপে পড়বে। পাশাপাশি এবারের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বেড়েছে ঠিক। কিন্তু এ খাতের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে আরও একাধিক খাত। তাছাড়া শিক্ষা খাতের বাজেটের বাস্তবায়ন চিত্র অনেকটাই কম। অন্যদিকে সার্বিক সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দও কম। ’

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বাজেটের বিষয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মূল উদ্দেশ্য দারিদ্র নির্মূল করা। পাশাপাশি আমরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাত এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে দেশে অতি দরিদ্র্য ৫০-৬০ লাখের বেশি নয়। এছাড়া কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।

সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, জনগণের অর্থ নানান খাতে যাচ্ছে। এতে কি স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে? একজন ব্যক্তিই ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে যায়। এই অর্থ সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে ব্যয় করা গেলে অনেক পরিবর্তন সম্ভব। বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে ঠিক। কিন্তু সেই অর্থায়ন কোথায় হচ্ছে তা কি খতিয়ে দেখা হচ্ছে?

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এত বড় বাজেট ও উন্নয়ন প্রকল্প জনগণের জন্য নেওয়া হলেও ভোটের অধিকার কেন জনগণের হাতে নেই। উন্নয়নের সঙ্গে জনগণের ভোটাধিকারের ক্ষমতাও থাকা উচিত।

সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংলাপে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অর্থমন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, মোকাব্বির খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বরকত-ই খোদা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এসই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।