বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব করেছেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কিছু দুর্বলতা চিহ্নিত করেছে।
‘করোনার মতো ভবিষ্যতে অন্য মহামারি দেখা দিলে তা মোকাবিলার জন্য টেকসই পদ্ধতি আবিষ্কার এবং রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে যথাযথ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও গবেষণার কাজে আমাদের জোরালোভাবে সম্পৃক্ত হতে হবে। দেশ হিসেবে যদি আমরা উন্নত বিশ্বের পর্যায়ে পৌঁছাতে চাই, সমন্বিত স্বাস্থ্য-শিক্ষা এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি গবেষণা নীতিমালা প্রণয়ন, তহবিল গঠন ও এ খাতে ব্যয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ’
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের নানা বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে নতুন নতুন পলিসি তৈরি বা সংশোধন করে দেশকে একটি গবেষণা সংস্কৃতি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতকে রূপান্তর করাই আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য। স্বাস্থ্য শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং এর গবেষণার জন্য একটি সমন্বিত বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন পলিসি তৈরি করা প্রয়োজন। এই পলিসি বা নীতিমালার লক্ষ্য হবে স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি গবেষণায় দেশকে ধীরে ধীরে উন্নত বিশ্বের সমকক্ষ করে তোলা।
মুস্তফা কামাল বলেন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতের গবেষণার উন্নয়নে আমি ১শ কোটি টাকার একটি ‘সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল’ গঠন করার প্রস্তাব করছি।
‘এ গবেষণা তহবিল দক্ষ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা জন্য স্বাস্থ্য খাতে অভিজ্ঞ গবেষক, পুষ্টি বিজ্ঞানী, জনস্বাস্থ্য ও সমাজ বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, পরিবেশবিদ এবং সুশীল সমাজ ও অন্য উপযুক্ত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এমআইএইচ/এএ