ঢাকা: গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়োগে জাল জালিয়াতি ঠেকাতে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সমন্বয় হচ্ছে। ভুয়া টেন্ডার, ঘুপটি টেন্ডার, ভুয়া বিল ও ভাউচার ইত্যাদি শনাক্তকরণে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতারের উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
অতিসম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তরের হিসাব সহকারী পরীক্ষায় মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে প্রবেশপত্রের ছবি ও পরীক্ষার্থীর মুখের ছবি মেলানো হয়েছে। এর ফলে ভুয়া প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে ফেস ডিটেকশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনাক্ত করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র বলছে, পরীক্ষায় প্রবেশের আগে সব পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবি ও উপস্থিত পরীক্ষার্থীর মুখের ছবি মেলানো হয়েছে। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রযুক্তির নতুন সংযোজন। সব মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর নিয়োগ পরীক্ষায় এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
দেশের সব পরীক্ষায় এ জাতীয় ‘ফেস ডিকেটশন অ্যাপ’ ব্যবহারে করলে পরীক্ষায় ভুয়া প্রক্সি কমে আসবে। এর ফলে মেধাবীদের চাকরিপ্রাপ্তির পথ খুলে যাবে। বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগ, খাদ্য, সমাজসেবা, চিকিৎসা বিভিন্ন পরীক্ষায় এ জাতীয় অ্যাপ ব্যবহার করলে দেশের চাকরিপ্রার্থীরা সুফল পাবেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মসূচিতে পক্সি দেওয়ার প্রবণতা রোধ হবে।
সূত্র আরও নিশ্চিত করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেক কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরের সফটওয়্যার টিম কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ‘ফেস ডিটেকশন অ্যাপ’ হাতে কলমে প্রশিক্ষণের জন্য একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
এমজেএফ