করোনার এই সময়ে বিশ্বব্যাপী চাকরি হারানোর আশংকায় আছেন কোটি মানুষ। এই প্রভাবের বাইরে নেই বাংলাদেশের চাকরিজীবীরাও।
রোববার ‘কর্ম প্রেজেন্টস অনলাইন জব হান্ট অর্গানাইজড বাই এক্সিলেন্স বাংলাদেশ’ শিরোনামে ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হবে আয়োজনটি। দিনব্যাপী ভিন্ন ভিন্ন তিনটি সেশনে চলবে এই আয়োজন। দিনের প্রথম সেশনটি শুরু হবে সকাল ১১টায়। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় সেশন দুপুর ৩টায় শুরু হয়ে চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। রাত ৯টায় শুরু হয়ে ১০টায় শেষ হবে তৃতীয় এবং সর্বশেষ সেশন।
আয়োজকেরা জানান, এই অনলাইন জব হান্টে চাকরীর আবেদনের সুযোগ নিয়ে আসছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে আছে মিনা বাজার, সহজ রাইডস, র্যাপিডো ডেলিভারি, ফাস্ট কুরিয়ার, শপ আপ, রকস্টোন সার্ভিসেস, সদাগর ডট কম, প্রিয়শপ এবং ইভ্যালিসহ আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। তরুণ চাকরিপ্রার্থীদের ক্যারিয়ার বিষয়ক দিকনির্দেশনা দিতে বিভিন্ন সেশনে যুক্ত হবেন এসব প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
আর আয়োজনটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম ।
আয়োজনের সার্বিক বিষয়ে এক্সিলেন্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বেনজীর আবরার বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রায় সবাই চাকরি নিয়ে চিন্তিত। এই দুর্যোগ কেটে গেলেও এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে দেশের চাকরির বাজারে। এমন পরিস্থিতিতেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির খোঁজ খবর ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এক মঞ্চে নয়ে আসছে অনলাইনে চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় মাধ্যম কর্ম ও এক্সিলেন্স বাংলাদেশ। তাদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে 'কর্ম প্রেজেন্টস অনলাইন জব হান্ট অর্গানাইজড বাই এক্সিলেন্স বাংলাদেশ'।
বেনজীর আবরার আরও বলেন, করোনার কারণে অনেক পেশার কর্মীরা যেমন ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কিত তেমনি এই করোনাই আবার নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা দেখিয়ে দিচ্ছে আবার। একই সঙ্গে বেশকিছুর পেশার চাহিদাও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে সেসব পেশায় কর্মীর চাহিদাও বাড়ছে যাদের চাকরি দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত। কাজেই আমরা এমন একটি উদ্যোগ নিয়ে এসেছি যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুই দিকের এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা যায়।
সার্বিক আয়োজন নিয়ে দেশিয় ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, করোনার কারণে দেশিয় ইকমার্স খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নতুন করে আমাদের সামনে এসেছে। এই সময়ে যে সুযোগগুলো আমাদের সামনে এসেছে সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা দেখেছি এই সময়ে আমাদের কর্মীর চাহিদা রয়েছে। ডেলিভারি অপারেশনস, কল সেন্টার এবং কাস্টমার কেয়ার, গ্রাফিক্স ডিজাইনসহ বিভিন্ন বিভাগে দক্ষ কর্মীদের প্রয়োজন রয়েছে। এই সংকটকালীন মুহূর্তে দেশে এমন একটি উদ্যোগ খুবই প্রয়োজন ছিল যার জন্য আমি গুগলের কর্ম এবং এক্সিলেন্স বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানাই। আমি আশা করছি যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই জব হান্ট আয়োজিত হতে যাচ্ছে তা শতভাগ পূরণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
এসএইচএস/জেআইএম