ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ে খালাসি পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রাজস্ব খাতভুক্ত এ পদে ১ হাজার ৮৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ পদে এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং রেলওয়ে পোষ্য কোটায় সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে ইতোমধ্যে আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
আবেদনের যোগ্যতা
খালাসি পদে আবেদনের জন্য কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। যেসব প্রার্থীর বয়স ১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখে যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে, তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখে ৩২ বছর পূর্ণ হলেও তারা আবেদন করতে পারবেন। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে যারা কমপক্ষে ২০ বছর চাকরি করেছেন, তাদের সন্তানরাও পোষ্য কোটার সুবিধা পাবেন। এ ব্যপারে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বর অথবা vas.query@teletalk.com.bd ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীদের এ ওয়েবসাইটের www.br.teletalk.com.bd মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণের পর রঙিন ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে। ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে। আবেদনপত্র সাবমিট করার পর ইউজার আইডি, ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদন কপি দেওয়া হবে। এই ইউজার আইডি ব্যবহার করে টেলিটক নম্বরের মাধ্যমে খালাসি পদের পরীক্ষার ফি ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সব অংশ পূরণ করে সাবমিট করা হলেও পরীক্ষার ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। আবেদনপত্রে প্রার্থী যে মোবাইল ফোন নম্বর দেবেন, তা সব সময় সচল রাখতে হবে। কারণ পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য ওই নম্বরে খুদে বার্তার মাধ্যমে পাঠানো হবে।
আবেদন করার পর মোবাইল ফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড পাঠানো হবে। এটি ব্যবহার করে রোল নম্বর, পদের নাম, ছবি, পরীক্ষার তারিখ, সময় ও কেন্দ্রের নাম সংবলিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। এই প্রবেশপত্র লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় এবং উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার সময় অবশ্যই দেখাতে হবে। অনলাইনে আবেদন এবং টাকা জমা দেওয়ার কাজ প্রার্থী নিজেকেই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো মাধ্যম থেকে আবেদন করে প্রার্থী প্রতারিত হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। শেষ তারিখ ও সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে হাতে সময় নিয়ে আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমা দিতে বিজ্ঞপ্তিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার সময় সব সনদের মূল কপিসহ এক সেট সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে এবং পূরণ করা আবেদন ফরমসহ সত্যায়িত এক সেট ফটোকপি জমা দিতে হবে। জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌরসভা মেয়র/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বাক্ষরসহ নাগরিকত্ব সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদের মূল কপি জমা দিতে হবে। পরীক্ষায় সময় কোভিড-১৯–সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ পদে নিয়োগ পেলে ২০তম গ্রেডে বেতন স্কেল হবে ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২২
আরএ