বগুড়া: বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বেড়েছে।
অপরদিকে বাঙালি নদীর পানি বাড়লেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক।
জানা যায়, গেল কয়েকদিনের বৃষ্টির সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। ফলে নদীর তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন নিচু এলাকার বসত-বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দূরবর্তী চরাঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলগুলো এবং এসব এলাকার রোপা, মাষকলাই, মরিচ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধানসহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে পানি উঠেছে। অনেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
বগুড়ায় মূলত আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকেই যমুনার পানি বাড়তে শুরু হয়। তবে বুধবার দুপুরে তা বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এতে উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, বোহাইল, কাজলা, চন্দনবাইশা, সারিয়াকান্দি সদর, হাটরশরপুর, কুতুবপুর, ও কামালপুর ইউনিয়নের ১১২টি চরের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানান, পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এ উপজেলার পাঁচ হেক্টর জমির আমন ধান, এক হেক্টর জমির স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধানের বীজতলা এবং ০.৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বাংলানিউজকে জানান, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ২৫ মিটার। বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৩টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৬.২৯ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে বাঙালি নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫.৪০ মিটার। এ নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ১৪.৩৭ মিটার হলেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
কেইউএ/এসআই