ফরিদপুর: ঘন কুয়াশার সঙ্গে তীব্র শীত বয়ে চলেছে ফরিদপুরে। সেই সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়ে ঝরছে ঘন কুয়াশা।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এমন অবস্থায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। পেঁয়াজ চাষিরাও উৎকণ্ঠায় আছেন। হঠাৎ এমন আবহাওয়ায় পেঁয়াজের হালির (চারা) মারাত্মক ক্ষতি হবে এমনটি আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে এসে দক্ষিণের জেলা ফরিদপুরে জেঁকে বসেছে এমন শীত। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই মানুষের।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) ফরিদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই জেলাটিতে তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। গত চারদিন ধরে অধিকাংশ সময়ই আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। একই সঙ্গে রোববার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মতো পড়ছে। মাঝে মধ্যে সূর্য উঁকি দিলেও অধিকাংশ সময়েই থাকছে মেঘের আড়ালে। ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ।
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের তীব্রতা থেকে মুক্তি পেতে অনেককে খড়কুটো জ্বালাতে দেখা গেলেও জেলা প্রশাসন থেকে শীতার্তদের তেমন সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি।
কৃষক মনির হোসেন, সাদেক খান ও ইয়ার আলী বলেন, অনেক ঠাণ্ডা। তার ওপর ঘন কুয়াশা বৃষ্টির মতো করে ঝিরিঝিরি পড়ছে। সন্ধ্যার পর ঠাণ্ডার দাপটে ঘর থেকে বেরোনো যাচ্ছে না। সকাল-সন্ধ্যা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে। হতদরিদ্র লোকজনের অবস্থা চরম শোচনীয় হয়ে পড়েছে। এছাড়া জমিতে রোপণকৃত পেঁয়াজের হালিতে পচন দেখা দিচ্ছে।
ফরিদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এমন অবস্থা আরও দু’দিন থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
এসআরএস