ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে অবমুক্ত হলো ‘ফিরোজ’ (ভিডিও)

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, স্পেশালিস্ট এনভায়রনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে অবমুক্ত হলো ‘ফিরোজ’ (ভিডিও) ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল: আশা, বনি, চৈতি, ডিন ও ইভার পর লাউয়াছড়া সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যানে এবার অবমুক্ত হলো ট্রান্সমিটারযুক্ত ষষ্ঠ অজগর ‘ফিরোজ’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুরে অজগরটি অবমুক্ত করা হয়।



এর আগে গত ৭ মার্চ অবমুক্ত করা হয় ট্রান্সমিটারযুক্ত আরেকটি অজগর ‘ইভা’।

‘ফিরোজ’ অবমুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. তৌফিকুল ইসলাম, সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. সারওয়ার আলম, রেঞ্জ কর্মকর্তা (ফরেস্ট রেঞ্জার) ইমাম উদ্দিন, লাউয়াছড়া বিট অফিসার মুনিরুল ইসলাম ও স্থানীয় সংবাদিকরা।

বিট কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৭ কেজি ওজনের এ অজগরের নামকরণ করা হয়ে ‘ফিরোজ’। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এ অজগরটিকে লাউয়াছড়ার পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ি এলাকার শনখলা থেকে উদ্ধার করে সেদিনই তার শরীরে রেডিও ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয়। কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর আজ (মঙ্গলবার) তাকে বনে ছেড়ে দেওয়া হলো।

তিনি আরও জানান, এই রেডিও ট্রান্সমিটারের ফলে ফিরোজের কাছ থেকে নানান তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।

অজগর গবেষণা প্রকল্পের গবেষক ও প্রখ্যাত সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ শাহরীয়ার সিজার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই ‘‌আশা’ নামক অজগরের শরীরে প্রথম রেডিও ট্রান্সমিটার স্থাপনের মাধ্যমে দেশে বন্যপ্রাণি গবেষণার একটি ঐতিহাসিক সূচনা ঘটে। আশার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ফুট এবং ওজন সাড়ে ৮ কেজি। আশার এই সফলতার ওই বছরের ১১ অক্টোবর ‘বনি’ এবং ‘চৈতি’র দেহে অস্ত্রোপচার করে রেডিও ট্রান্সমিটার বসানো হয়। তিনদিন পর্যবেক্ষণ শেষে তাদের দু’জনকে ১৪ অক্টোবর ছেড়ে দেওয়া হয় লাউয়াছড়ার অরণ্যে।

শাহরীয়ার সিজার আরও বলেন, বনির দৈর্ঘ্য সোয়া ৯ ফুট ও ওজন সাড়ে ১০ কেজি আর চৈতির দৈর্ঘ্য সাড়ে ১১ ফুট এবং ওজন প্রায় ১৩ কেজি। এরপর ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হয় ৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ কেজি ওজনের ‘ডিন’কে। চলতি বছরের ৭ মার্চ ৭ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও  প্রায় ৬ কেজির ওজনের ইভাকে লাউয়াছড়ার জানকিছড়া জলাশয়ের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বন্যপ্রাণি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘কারিনাম’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও বন্যপ্রাণি গবেষক ড. এসএমএ রশিদ এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে ফিরোজসহ আমরা ৬টি অজগরের শরীরে রেডিও ট্রান্সমিটার স্থাপন করে বনে অবমুক্ত করেছি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে রেডিও ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে বিপন্ন অজগর প্রজাতিটিকে আমাদের বনে বাঁচিয়ে রাখতে নানা তথ্যসংগ্রহসহ গবেষণা। বাংলাদেশ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন বিভাগের সহযোগিতায় ‘কারিনাম’ এই অজগর গবেষণা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

 

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।