ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

হাট-বাজারে উঠছে চাই-টইয়া-পলো-ডারকি

ডিভিশনাল স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
হাট-বাজারে উঠছে চাই-টইয়া-পলো-ডারকি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর: বর্ষাকালে প্রকৃতি যেন নতুন রুপে সাজে। নদী-নালা খাল-বিলে যেন ভরা যৌবন।

গ্রাম-গঞ্জে এ সময় সবাই নেমে পড়েন দেশীয়ভাবে তৈরি যন্ত্র দিয়ে মৎস্য আহরণে। আর এর অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন হাট-বাজারে এখন দেখা মিলছে মাছ ধরার দেশীয় যন্ত্র চাই, টইয়া,পলো ও ডারকির।

রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, কাউনিয়া নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা, ডিমলা দিনাজপুরের পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় মাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত হয় দেশীয়ভাবে তৈরি বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি এসব যন্ত্র।

চাই দেখতে আড়াই তিন ফুট লম্বাকৃতির গোলাকার যন্ত্র। টইয়া চ্যাপ্টা আকৃতির, মাছ ধরার ক্ষেত্রে চাই ও টইয়ার ব্যব্হার একই রকম। উচু জমি হতে পানি যখন নিচু জমিতে তখন বাঁধ দিয়ে ছোট একটা জায়গা করে চাই/ টইয়া ব্যবহার করা হয়। যাতে চাইয়ের ভিতর দিয়ে অথবা টইয়ার উপর দিয়ে পানি যায়। এতে বড় ছোট সব ধরনের মাছ আটকে যায়।

জায়গা ও পানির প্রকার ভেদে চাই-টইয়ার সাইজও বিভিন্ন আকৃতির ব্যবহার করতে হয়। টইয়াতে শুধু উজানের পানি হতে আসা মাছ ধরা পড়লেও চাইয়ের মধ্যে ভাটির দিক থেকে উজানে দিকে যাওয়া মাছ ধরা পড়ে।

পলো আড়াই থেকে তিন ফুট লম্বাকৃতির গোলকার যন্ত্র। কম পানির জায়গায় পানিতে ফেলে উপর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মাছ শিকার করা হয় এ যন্ত্রের সাহায্যে।

রংপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান জানান, বর্ষাকালে সাধারণত এ অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। পানি শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে উচু-নিচু জমিতে এ অঞ্চলের মানুষ মাছ শিকারের জন্য এসব যন্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী এসব যন্ত্র দিয়ে মাছ শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে করে পোনা মাছ ধ্বংস হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫     
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।