ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে প্রপাগান্ডা বন্ধ করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৫
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে প্রপাগান্ডা বন্ধ করতে হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জলবায়ু ট্রাস্টের অর্থায়ন নিয়ে প্রপাগান্ডা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।
 
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) পিকেএসএফ মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট’র (সিসিসিপি) আওতায় ‘জলবায়ু অর্থায়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ আহ্বান জানান।


 
তিনি বলেন, জলবায়ু ট্রাস্টে অর্থায়ন নিয়ে দেশীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কারও এজেন্ট হিসেবে প্রপাগান্ডা চালিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের চিহ্নিত ও প্রতিহত করা এবং এ ইস্যুতে এখনই সচেতনতা তৈরি করতে না পারলে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে পিছিয়ে যাবে।
 
জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড থেকে অর্থ আদায়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সক্ষমতা বাড়ানো, সিসিসিপি-কে পুর্নগঠনের ওপর জোর দেন এ অর্থনীতিবিদ।
 
পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত সফলভাবে মোকাবেলা করতে জলবায়ু অর্থায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশীয়, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও কার্বন মার্কেট জলবায়ু অর্থায়নের অন্যতম প্রধান উৎস। বাংলাদেশকে সব পর্যায় থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
 
জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী রাষ্ট্রগুলো প্রতিশ্রুত অর্থের সামান্যতম ছাড় দিয়েছে। ভারত, চীনসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র পেলেও, বাংলাদেশের মতো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র এ অর্থ পায়নি। এক্ষেত্রে আমাদের সমন্বয়, সক্ষমতা ও লবিংয়ের অভাব রয়েছে।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থ পেলে কীভাবে, কোথায় খরচ করবে তার পরিকল্পনা নেই। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে বেশ কয়েকটি তহবিল গঠিত হলেও এসব তহবিলে অর্থায়নের প্রবাহ উল্লেখযোগ্য নয়।
 
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলবায়ু অর্থায়নে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে অধিকতর সোচ্চার হতে হবে বলে তিনি জানান।
 
পিকেএসএফ’র সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ডে কোনো টাকা না পেলেও, বসে না থেকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যারা গ্রপাগান্ডা চালাচ্ছে তাদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। এ ফান্ডে দেশি-বিদেশি অর্থ আসার পর যাতে দুর্নীতি না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।
 
কর্মশালায় ‘জলবায়ু অর্থায়নে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ।
 
বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট’র সচিব রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে তহবিল গঠন করা বিশ্বে অন্যন্য দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ শুধুমাত্র উন্নত দেশ থেকে পাওয়া অর্থায়নের দিকে না তাকিয়ে, নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় কাজ করছে।
 
গত সাত অর্থবছরে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে তিন হাজার কোটি টাকা দিয়েছে এবং এ অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়েছে।
 
কর্মশালায় পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. নুরুল কাদির বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
আরইউ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।