ঢাকা: খরগোশের মতো এমন তুলতুলে আদুরে প্রাণি আর কিইবা হতে পারে! দুনিয়ার মানুষের কাছে কোমলতার প্রতীক হয়ে আছে ফল ও তৃণভোজী এই প্রাণিটি। এই খরগোশকে নিয়ে কতো না রূপকথার গল্প-গাথা।
‘এখনো তো শুই ভীরু খরগোশ-ব্যবহৃত ঘাসে...’
যাক সেকথা। বাস্তবে ব্যাপারটা অতোটা কোমল নয়। এই নিরীহ প্রাণিটাও যে মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে সেকথাই শোনাবো এখন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কাছের হুইড বে নামের একটি দ্বীপ-শহরের পুরোটাই এখন চলে গেছে হাজার হাজার বুনো খরগোশের দখলে। গোটা শহরটাকে রীতিমতো পয়মাল করে দিচ্ছে ওরা। শহরটির বাসিন্দাদের আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেছে ওদের দৌরাত্ম্যে। নইলে কি আর সংবাদপত্রগুলো শিরোনাম করে: ‘Rabbits Are Taking Over This Small Island City’
এরই মধ্যে বুনো খরগোশের দল দ্বীপজুড়ে গর্তের পর গর্ত খুঁড়ে চলেছে। লোকের আঙ্গিনা,বাগান, খেলার মাঠ সব জায়গা হাজারো গর্তে ছয়লাপ। সাউথ হুইড বে স্কুল ডিসট্রিক্ট –এর ফ্যাসিলিটিজ ডিরেক্টর ব্রায়ান মিলার জানালেন, দ্বীপের মিডল স্কুলের খেলার মাঠটিতে খরগোশের দল এতো বেশি গর্ত খুঁড়েছে যে এটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তাদের ৮০ হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছে। এছাড়া দ্বীপের সব্জি ও ফসলও যাচ্ছে ওদের পেটে।
সবচে বড় কথা, এরা নানা রোগও ছড়াচ্ছে। অগত্যা তারা ভাবছেন পোষা ঈগল ছেড়ে ওদের সংখ্যা কমাবেন। কিন্তু দ্বীপের বাসিন্দাদের একাংশ তা চান না পুরো দ্বীপটাকে খরগোশমুক্ত করা হোক। সেখানকার পুলিশপ্রধান ডেভ মার্কসও মনে করেন এভাবে ‘অকারণে’ খরগোশ নিধনের কোনো মানে হয় না: “I’m not into killing animals for no reason.” আর এতো হাজারে বিজারে খরগোশ মেরে ফেলাটাও তো সহজ কম্মো নয়। এর পেছনে যে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার খরচ করতে হবে সে চিন্তাটাও তাদের মাথায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
জেএম/এটি
জলবায়ু ও পরিবেশ
খরগোশের দখলে গোটা শহর!
পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।