গোপালগঞ্জ: পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার বাঘিয়ারকুল গ্রামের বাগানবাড়ি।
শীতের সময় প্রতিবছর এখানে পরিযায়ী পাখিরা আসে।
এদিকে, কেউ পরিযায়ী পাখি শিকার করলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার বাঘিয়ারকুল গ্রামে ১৮ বছর আগে একটি বাগানবাড়ি তৈরি করেন শেখ ফজলুল করিম মারুফ। এরপর থেকে শীতের শুরুতে সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন, নেপাল ও ভারত থেকে এ বাগানবাড়িতে আসতে শুরু করে পরিযায়ী পাখি।
পাখি শিকার না করায় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পাখির সংখ্যা। এখানে লাগানো প্রায় দুই শতাধিক গাছের ডালে অতিথি পাখি ওয়াক, বক, সারস, কানিবক, দাঁড়বক, বুচিবক, পানকৌড়ি, সরাইল, ডুনখের, কাস্তেচোরাসহ বিদেশি ও স্থানীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বাসস্থান গড়ে তুলেছে।
এসময় পাখির ডানা ঝাপটানো নান্দনিক ছন্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো বাগানবাড়ি। সুদূর ভুটানসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও আসছেন দর্শনার্থীরা।
টুঙ্গীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল্লাহ জানান, শেখ ফজলুল করিম মারুফ সাহেবের বাগান বাড়িটি পাখিদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। অনেক নিরাপদ হওয়ায় প্রতি বছর এখানে পাখির সংখ্যা বাড়ছে। এখানে কেউ পাখি শিকার করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান জানান, এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা পরিযায়ী পাখি দেখতে আসেন। তারা যাতে নির্বিঘ্নে এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন সেজন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬
এসএস/এএ