ঢাকা: বসন্ত মানে অজস্র ফুলের সমারোহ। হাজার রঙের মিলন মেলা।
আবার শীতের কিছু ফুল বসন্তের সঙ্গী হয়ে থাকে গোটা ঋতু জুড়ে।
শিমুল
বসন্তে শিমুল আসে একটু দেরিতে। মার্চে শিমুলের পাতা ঝরে ফোটে ফুল। টকটকে লাল এ ফুলটি গ্রীষ্মপ্রধান আফ্রিকা, ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে জন্মে। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৯৯ ফুট থেকে ১৩২ ফুট বাড়ে শিমুল গাছ। আর ফুলের দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার।
পলাশ
পলাশ শাঁখে আগুন লাগার এই তো সময়! পলাশ ফুলের জন্মস্থান বাংলাদেশ, ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়শিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। লম্বায় প্রায় ৫০ ফুট গাছটির ফুল দৈর্ঘ্যে ২.৫ সেন্টিমিটার।
গাঁদা
নগরজীবনে থেকে যারা অভ্যস্থ তারা শিমুল-পলাশের দেখা সহজে পান না। এখনকার নগরজীবনে বসন্তের অন্যতম প্রতীক গাঁদা ফুলকেই ধরা যায়। বসন্তের সাজসজ্জায় ব্যাপকহারে গাঁদাফুলের প্রাধান্য লক্ষণীয়।
মোরগ ফুল
ফুলটি দেখতে মোরগের মাথার ঝুঁটির মতো। আদিনিবাস আফ্রিকা কিন্তু বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এ ফুলটি অনেক দেখা যায়। মোরগ ফুল বিভিন্ন রঙের হয়। লাল, কমলা, ম্যাজেন্টা, হলুদ, সাদা ইত্যাদি। মসৃণ পাপড়ির এ ফুলটি অঞ্চলভেদে লালঝুঁটি ও লালমুর্গা নামে পরিচিত।
চন্দ্রমল্লিকা
চন্দ্রমল্লিকা ফাল্গুনের আগেই ফোটে। এর ইংরেজি নাম ক্রিসেন্থিমাম। আদিনিবাস জাপান। এ ফুলটি বিভিন্ন রঙের হয়। হলুদ, বাদামি, গোলাপি ইত্যাদি।
গোলাপ
গোলাপ ফুলকে আলাদা করে বসন্তের ফুল বলা যাবে না। এটি সারাবছরই পাওয়া যায়। তবে আগস্ট থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত হচ্ছে গোলাপের চারা লাগানোর ভালো সময়। ভালোবাসার প্রতীক গোলাপের জনপ্রিয়তা অনেক। গোলাপ ফুল লাল, গোলাপি, সাদা, হলুদ, কালো রঙের হয়।
সন্ধ্যামালতী
সন্ধ্যার ফুল সন্ধ্যামালতী। ভারতের আসামে এ ফুলটি গোধূলি গোলাপ নামে পরিচিত। ফুলটি ফোঁটে সন্ধ্যায়, সারারাত জাগার পর সকালবেলায় নেতিয়ে পড়ে।
নয়নতারা
সাদা, গোলাপি, বেগুনি রঙের ফুলটির পাঁচটি পাপড়ি। এটি সারাবছর পাওয়া যায়। কিন্তু শরৎ ও বসন্তে বেশি পরিমাণে জন্মে। গন্ধহীন ফুলটির প্রতিটি পাপড়ি তিন সেন্টিমিটার পর্যন্ত চওড়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
এসএমএন/এএ