বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর ধরে অবৈধ দখলকারীরা ব্যাপকভাবে লেবু বাগান করে সংরক্ষিত বনের এ জায়গাগুলো দখল করে রেখেছিল। বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার জোগসাজশে এ অবৈধ কাজটি করে আসছিলেন তারা।
বর্তমানে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো ও সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা পালন করছেন দীর্ঘদিন। লাউয়াছড়াকে তার নিজম্ব রূপে ফিরিয়ে আনতে নানান উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
এরই অংশ হিসেবে অবৈধ দখলমুক্তকরণের উদ্যোগ। বন বিভাগ ছাড়াও লাউয়াছয়া সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির (সিপিজি) সদস্যরা এতে অংশ নেন।
সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সংরক্ষিত এ বনের প্রায় ২শ একর জায়গাজুড়ে অবৈধ দখল রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে অবৈধ দখলগুলো উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
‘লাউয়াছড়া একটি সংরক্ষিত চিরসবুজ বন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এখানে কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করলেই বন আইনের আওতায় ২৭ এর ৬৪ ধারা মোতাবেক তাকে আমরা যে কোনো সময় আটক করতে পারি। সরকার আমাদের এ ক্ষমতা দিয়েছে। এ আইন উপেক্ষা করে অবৈধ দখলকারীরা দীর্ঘদিন থেকে এ বেআইনি কাজটি করে আসছিল। ’
উচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রায় ২০ একর জায়গার অবৈধ লেবুগাছ কাটার পরে স্থানীয় কাউন্সিলররা অবৈধ দখলদারদের পক্ষ নিয়ে গাছগুলো স্থানান্তর করার সময় চেয়েছেন। আমি তাদের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়ে এসেছি। সেই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তারা নিজ থেকে লেবুগাছগুলো সরিয়ে না নিলে ১৪ জানুয়ারি পুনরায় এ অভিযান পরিচালিত হবে।
লাউয়াছড়ায় এ অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে বন্যপ্রাণীদের খাবারের যত প্রজাতির ফলদ বৃক্ষ রয়েছে আমরা প্রায় সবগুলোই এখানে রোপণ করবো। জানান এই সহকারী বন সংরক্ষক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৭
বিবিবি/এএ